Product Management কি? Product Management কেন শিখবেন?

 Product Management কি? Product Management কেন শিখবেন?

প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট (Product Management) কি এবং কেন  এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তুলবেন তার এ টু জেড আলোচনা হবে ঘুড়ি লার্নিং এর আর্টিকেলে। 

আমরা সাধারণ কোন একটি পণ্য বা সেবাকে ভোগের জন্য যখন বেছে নিতে যাই তখন  বাজারে থাকা হাজারো পণ্যের সমারোহে আমরা সব সময় সর্বোত্তম পণ্য টি বেছে নেই। আর এই সর্বোত্তম পণ্য কোনটি সেটি আমরা চিহ্নিত  করি যে পণ্য  বা সেবা টি মানে ভালো এবং দামের দিক দিয়েও ঠিক, আর যে পণ্য টি সব চেয়ে বেশি ভোক্তাবান্ধব। কিন্তু আমরা কি জানি হাজারো পণ্যের মধ্যে একটি পণ্য কে অনন্য করে তেলার ক্ষেত্রে কার অবদান সবচেয়ে বেশি। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের সাথে যারা জড়িতো এবং বর্তমানে  এই জব ফিল্ডে বেড়েছে চাকরির সুযোগ। 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আপনিও নিজেকে একজন দক্ষ প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন। সেই সাথে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। আমরা আজকে আলোচনা করবো কিভাবে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন তা নিয়ে। প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ক্যারিয়ার গঠনে আপনি যে যে বিষয় গুলো নিয়ে জানবেন এই আর্টিকেলে—

  • প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট কি?
  • একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কি কি দায়িত্ব পালন করেন? 
  • Product Management কেন শিখবেন?
  • Product Management কোথা থেকে শিখবেন?
  • চাকরিক্ষেত্রে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কি কি কাজ করেন
  • একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন 
  • একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে কি কি পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়
  • ক্যারিয়ার গঠনে করণীয় কি
  • কি কি দক্ষতা থাকলে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়
  • চাকরির ইন্টারভিউ তে আপনাকে যে ধরণের প্রশ্ন করতে পারে
  • যোগ্যতা
  • স্যালারি
  • এবং কর্মক্ষেত্র বা যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে আপনি চাকরি করতে পারেন

তাহলে চলুন প্রথমে আমরা জেনে নেই প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট বলতে কি বুঝায় বা এটি কি?

প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট 

ভোক্তার চাহিদা এবং কোম্পানির উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে এমন একটি পণ্য উদ্ভাবন করা যা উভয়  লক্ষ্যকে পূরণ করবে, সেই কাজটি করে থাকেন প্রোডাক্ট ম্যানেজার। সবসময় প্রোডাক্ট ম্যানেজার যে ফিজিক্যাল পণ্য নিয়েই কাজ করবে সেটা বাধ্যতামূলক নয় এটি একটি অ্যাপ, ডিজিটাল সার্ভিস বা ফিচার ও হতে পারে। যেহেতু একটি অ্যাপ বা ফিচারারেরও ব্যবহারকারী বা ভোক্তা রযেছে তাই এসব ক্ষেত্রে ও প্রোডাক্ট  ম্যানেজারের কাজ করে থাকেন।

  • ঘুড়ি লার্নিং এর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিজের দক্ষতা গুলো কাজে লাগিয়ে পণ্যটি জনপ্রিয় করে তোলা জন্য এবং মার্কেট প্লেস  জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে কোম্পানির মিনি সিইও বলা যায়। আমরা জানি সিইও হলো চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। যিনি একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকেন। তেমনি একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে মিনি সিইও বলা হয় কারণ তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সব ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন। একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার একটি পণ্য উৎপাদন থেকে শুধু করে ভোক্তা হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সব ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো নিয়ে থাকেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কাজ গুলো ধাপে ধাপে নির্ভুল আর সফলভাবে করার জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। 

অর্থাৎ প্রোডাক্ট ম্যানেজার প্রোডাক্টের উপর কাজ করে। কিভাবে ভোগকারী তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাবেন সেই সব প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিয়ে থাকেন। ভোক্তার চাহিদা অনুয়ায়ী একটি প্রোডাক্ট ডেভলপ করার জন্য করণীয় গুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার। 

মার্কেট রিসার্চ → প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট →প্রোডাক্ট লঞ্চ

এই সব গুলো কাজ করে থাকে।

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার যেহেতু পণ্য সম্পর্কিত সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো নিয়ে থাকেন সেহেতু প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে পণ্য  উৎপাদন,  প্রোডাক্ট ডেভলপ্টমেন্ট এবং প্রোডাক্ট ডিজাইনাকারী টিম গুলোর সাথে কাজ করতে হয়। একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার শুধু নিজে থেকে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন না। পণ্য সম্পর্কে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে ভোক্তার চাহিদা, ভোক্তার সুবিধা, উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবহৃত কাঁচামাল, লোকবল, কোম্পানির নীতি, অর্থায়ন, মার্কেটিং কেমন হবে, ডিস্ট্রিবিউশন কিভাবে হবে সব দিকে খেয়াল রেখে সব কিছুর অনুকূলে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

পণ্য বাজারজাত করার পরে ভোক্তা সে পণ্য সম্পর্কে কোন অভিযোগ আছে কি না বা পণ্যটি থেকে আরো কিছু আশা করে কিনা, পণ্য ভোক্তার চাহিদা সঠিক ভাবে পূরণে সক্ষম কি না এগুলা নিয়েও গবেষণা করেন। পরবর্তীতে এগুলার উপর ভিত্তি করে পণ্যটিতে আরও কোন পরিবর্তন করতে হবে কি না এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। 

  • ঘুড়ি লার্নিং এর প্রফেশনাল সেলস্ এন্ড মার্কেটিং কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

সুতরাং এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারছি যে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হচ্ছে যিনি পণ্য ব্যবস্থাপণা সম্পর্কে সকল ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন অর্থাৎ একটি পণ্য কাঙ্ক্ষিত ভাবে যাতে ভোক্তার চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং ভোক্তার পছন্দনীয় হয়ে উঠতে পারে সে সম্পর্কিত সকল ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং এভাবে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠান ভেদে প্রোডাক্ট ম্যানিজারের সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে পারি। বড় বড় কোম্পানি গুলোতে একাধিক প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে একটি পদেই নিয়োগ হয়ে থাকে। তাই এটি প্রতিষ্ঠান ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কি কি দায়িত্ব পালন করেন

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার শুধু একটি প্রোডাক্টকে ম্যানেজ করে বিষয়টা এমন নয়, তিনি মার্কেট চাহিদাকে অধ্যয়ন করে। একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে যে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় সেগুলো হলোঃ

         বিজনেস স্ট্র্যাটেজি

               ↓

              ডিজাইন নলেজ

                         ↓

              কাস্টমার নিড

.

একজন প্রোডাক্ট  ম্যানেজারের দায়িত্ব গুলো হলো

প্রোডাক্ট প্ল্যানিংঃ প্রোডাক্ট প্ল্যানিং বলতে বুঝায় একটি পণ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভোক্তার কাছে যাওয়া পর্যন্ত যে যে ধাপ বা প্রেসেস গুলো অতিক্রম করবে তার একটি পরিকল্পনা । প্রোডাক্ট  প্ল্যানিং যদি সঠিক না হয় তাহলে দেখা যাবে পণ্যটি উৎপাদন আর বাজারজাত করার সময় আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরে দেখা যাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছুই হচ্ছে না অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অবশ্যই প্রোডাক্ট প্ল্যানিং সতর্কতার সাথে করতে হবে। সেজন্য কিভাবে প্রোডাক্ট উৎপন্ন  করবে, কিভাবে অন্য টিমদের সাথে যোগাযোগ করবে, কি প্রক্রিয়া কাজ করা হবে সবই প্রোডাক্ট প্ল্যানিং করার সময় চিহ্নিত করতে হবে।

ভোক্তার চাহিদা বুঝা এবং সেগুলো উপস্থাপন করাঃ একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার অবশ্যই ভোক্তার চাহিদা মাথায় রেখে একটি পণ্য বাজারে সরবরাহ করবে এবং পণ্য টি এমন ভাবে প্রস্তুত করে যাতে ভোক্তা চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়।

মার্কেট মনিটরিং এবং কম্পেটেটিভ মার্কেট এনালাইসিসঃ এমনভাবে পণ্য সম্পর্কে ও পণ্যের মান সম্পর্কে ধারণা উপস্থান করতে হবে যাতে ভোক্তা অন্যান্য পণ্য থেকে প্রোডাক্ট ম্যানেজারের কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেয়।

প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে নিজের আইডিয়া গুলো সুন্দর ভাবে অন্য কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করার দক্ষতা থাকতে হবেঃ প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে পণ্য বাজারে সরবরাহ করার আগে অবশ্যই মার্কেট মনিটরিং করে পণ্যের চাহিদা বাজার ব্যবস্থা এগুলা অনুধাবন করতে হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য সেভাবে বাজার এনালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পণ্য সম্পর্কে সঠিক  প্রয়োজনীয় ধারণা ভোক্তার নিকট উপস্থাপন: ভোক্তাকে পণ্য সম্পর্কে  সঠিক ধরণা প্রদান করতে হবে। পণ্যটি কেন অন্য পণ্য থেকে আলাদা, অনন্য এভাবে পণ্যের গুণগত মান ফুটিয়ে তুলতে হবে ভোক্তার কাছে, যাতে ভোক্তা  প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেয়।

এছাড়াও যে দায়িত্বগুলো পালন করে থাকে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার সেগুলো হলোঃ
 

  • একটি ভালোমানের পণ্য  এবং একটি এভারেজ পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করে তোলেন। 
  • প্রতিষ্ঠানের পণ্য মার্কেটে জায়গা পেতে হলে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হলে কোন কোন জায়গাগুলো তে  কতোটুকু ফোকাস করতে হবে এসব বিষয় নিয়ে  কাজ করে থাকেন। 
  • কোন কাজটি আগে এবং কোন কাজ টি পরে করতে হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
  • প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কেটে একটি পণ্য কে নেওয়া পর্যন্ত কেন কাজটি কখন কিভাবে করতে হবে সে সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন
  • একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার একটি সঠিক পণ্য দ্বারা সঠিক চাহিদাটি পূর্ণ করে থাকেন।

চাকরিক্ষেত্রে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কি পদে কাজ করে

প্রতিষ্ঠানভেদে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করার পদ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে প্রোডাক্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব গুলো পালন করলেও পদটিকে অন্য নামে অভিহিত করা হয়। সাধারণ প্রোডাক্ট ম্যানেজারের যে পদগুলো হয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ

  • এসোসিয়েট প্রোডাক্ট ম্যানেজার।
  • প্রোডাক্ট ম্যানেজার।
  • সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার। 
  • গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার।
  • ডিরেক্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট।
  • ভিপি প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট।
  • চিফ প্রোডাক্ট অফিসার। 

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার যে গুণ গুলো থাকতে হবে

প্রতিযোগী মনোভাব

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার সব সময় মার্কেটে থাকা হাজার পণ্যে মধ্যে থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যটিকে অনন্য করে তোলার জন্য  কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে যেহেতু অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও একই পণ্য সরবরাহ করছে সেহেতু নিজর প্রতিষ্ঠানের পণ্যটি অনন্য করে তোলার জন্য এবং অন্য পণ্য থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যকে সর্বোত্তম করে গড়ে তোলার জন্য প্রোডাক্ট ম্যানেজার কাজ করে। এখানে প্রোডাক্ট ম্যানেজারদের মধ্যে একটি প্রতিযোগী মনোভাব থাকতে হয়। না হইলে শুধুমাত্র দায়সারা কাজ করে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব  নয়।

  • ঘুড়ি লার্নিং এর পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

জটিল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে অবশ্যই সব পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে হবে এবং কর্মরত সকল টিমকে মোটিভেট করতে হবে। যে কোন সময় যে কোন পণ্যের জনপ্রিয়তা কমে যাতে পারে বা যেকোন কারণে পণ্য মানসম্মতভাবে সবরাহ করা সম্ভব না হলে ঐসব জটিল পরিস্থিতি কিভাবে সমলাতে হবে তা জানতে হয়। তখন উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কে। 

দূরদর্শীতা

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার যেহুতু ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সেজন্য তাকে অবশ্যই দূরদর্শী হতে হবে। কোন কাজের ফলে ভবিষ্যতে কি ঘটবে, কেমন প্রভাব পড়বে প্রতিষ্ঠানের উপর সেগুলো পূর্বানুমান করতে হবে। একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারে মূল  লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পণ্য,  সেবা, অ্যাপ বা ফিচার গুলোকে এমন ভাবে ভোক্তার কাছে উপস্থাপন করা যাতে ভোক্তা সেগুলো ব্যবহার বা ভোগ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে, পরবর্তীতেও যেন এগুলো ব্যবহার করে এবং এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তাই একটি পণ্য উৎপাদন  থেকে মার্কেটিং পর্যন্ত কি কি এপ্রোচ ব্যবহার করতে হবে সেগুলো এমন ভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সেটি ভবিষ্যতে সফলতা নিয়ে আসে আর এই এপ্রোচ গুলোর নির্বাচনের ক্ষেত্রে দূরদর্শী হতে হবে।

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে কি কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার যেহেতু পণ্য সম্পর্কিত সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্যান্য টিমগুলোর সাথে মিটিং করতে হয় তাদের মতামত গুলো শুনতে হয়। তাদের পরিস্থিতি  ও মতামত শুনে সেগুলো মাথায় রেখে তাদের অনুকূলে সিদ্ধান নিতে হয়। এক্ষেত্রে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বা এমন কোন সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, যা তারা করতে পারবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই  বেশি হবে।

অনেক সময় দেখা যায় পণ্য উৎপাদনকারী আর পণ্যে অর্থায়নকারীর মধ্যে দ্বিমত দেখা দেয়, তখন পরিস্থিতি কিভাবে সামলাতে হবে তা প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে দেখতে হবে। কর্মকর্তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে, তাদের সময় দিতে হবে, তাদের কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। যেহেতু অনেকগুলো টিম এক সাথে কাজ করবে তাই প্রতিদিন প্রচুর ফোন কল আসবে টিম  মেম্বারদের থেকে।  যতোই কাজ থাকুক অস্থির না হয়ে নির্ভুলভাবে কাজ করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।

Product Manager হিসাবে ক্যারিয়ার গঠনে করণীয় কি

একজন সফল প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে নিজের গড়ে তুলতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে কিছু দক্ষতা। দক্ষতা অর্জন করলে এই ফিল্ডে সফলতা অর্জন সম্ভব। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য  কি ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন বা  কি ধরণের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। অনেকের মনেই এই প্র্শ্নটি আছে যে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হওয়ার জন্য কি  নির্দিষ্ট কোন ডিসিপ্লিন বা সাবজেক্টই পড়তে হবে। বিবিএ/এমবিএ পড়তে হবে। এখন আমরা  এই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন সাবজেক্ট বা ডিসিপ্লিনে পড়তে হবে না। যেকোন ডিসিপ্লিনে পড়ে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের একটি কোর্স করলেই যথেষ্ট। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ভেদে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়ে থাকে বিবিএ বা বিজনেস স্টাডি সাবজেক্টে স্নাতক বা স্নাতকতর অধ্যয়ন করা থাকতে হবে। কিন্তু এটি সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার বা বিবিএ/এমনবিএ অধ্যয়নকৃত শিক্ষার্থীদের আগ্রাধীকার দেওয়া হয়। এমটা সাধারণত ক্ষেত্র বিশেষে হয়ে থাকে। 

  • ঘুড়ি লার্নিং এর বিজনেস ডেভলপমেন্ট কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

একজন দক্ষ প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাব নিজেকে গড়ে তুলতে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন

যে ধরনের প্রার্থীদের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য সিলেক্ট করা হয় চলুন তা দেখে আসি। 

দক্ষ যোগাযোগ ক্ষমতাঃ যেহেতু একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে অনেকগুলো টিমের সাথে একত্রে কাজ করতে হয়, সকল টিমের কথা শুনতে হয়, তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হয়, সেই জন্য একজন দক্ষ প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে অবশ্যই যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। কোন একটি আইডিয়া সঠিকভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করার যোগ্যতা থাকতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল টিম সঠিক ভাবে কাজ করছে কি  না সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট সাইকেল সম্পর্কে ধারণাঃ প্রতি প্রোডাক্ট, ফিচার বা অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করার জন্য প্রথমে প্রোডাক্টটি ডেভলপ করার যে সাইকেল বা চক্র  রয়েছে সেটি বুঝতে হবে। প্রোডাক্ট ডেভলপ করার জন্য কি কি ধাপ অতিক্রম করতে হবে সে ধাপগুলোতে কি কি করা হবে সেটি জানা থাকলে একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার কখন কোন কাজটি করবেন, কোন কাজ করলে ডেভলাপারদের বুঝতে সুবিধা হবে, সঠিক টাইমলাইন সেট করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সফল হবেন। 

একটি প্রোডাক্টের বিজনেস সাইড বুঝাঃ একটি পণ্য বাজারে সরবরাহ করার আগে অবশ্যই পণ্যটির কি চাহিদা আছে, যে পণ্যটি উদ্ভব করা হচ্ছে সেটি কি আাসলেই ভোক্তার সব চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে সক্ষম হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সর্বোপরি একটি নিদিষ্ট বাজেটের পণ্য প্রস্তুত করে বাজারে সরবরাহ করা আসলে লাভজনক হবে কি না এসব বিষয়ে এনালাইসিস করা প্রয়োজন। একটি পণ্য কতোটা লাভজনক হবে সেটি বুঝর জন্য বিজনেস সেন্স থাকতে হবে।

ক্রিটিকাল থিংকিং  এনালাইটিকাল স্কিলঃ একটি পণ্যকে মার্কেটে আনা থেকে স্ট্রাটেজিক মার্কেট এনালাইসিস এবং অনেক ক্যালকুলেশন করার প্রয়োজন পরে। ভোক্তার কোন অসুবিধা হলে সেটা কিভাবে স্ট্রাকচার করে সমাধান করবেন, প্রোডাক্ট অনন্য করে তোলা যায় এর  ক্রিটিকাল থিঙ্কিং এবং এনালাইটিকাল আউটলুক খুব গুরুত্বপূর্ণ।  যদি একটি উদাহরণ হিসাবে আমরা দেখি— কোন এ্যাপ বা সফটওয়্যার কোম্পানি যদি একটি ভিডিও  অ্যাপ উদ্ভাবন করে তাইলে ঐ অ্যাপটির স্টপ বাটন কোথায় বসাবে,১০ সেকেন্ড আগে বা পরে ভিডিও কিভাবে স্কিপ করবে ঐ বাটন গুলা আছে কি না এগুলোতে খেয়াল রাখতে হবে। অন্য প্রতিযোগিরা কিভাবে কাজ টি করছে এই জিনিস গুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে আর এসব কাজের জন্য ক্রিটিকাল থিঙ্কিং আর এনালাইটিকাল স্কিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

সেলস আর মার্কেটিং নলেজ থাকতে হবেঃ  যেহেতু একজন মার্কেটিং ম্যানেজার একটি পণ্য কে অনন্য করে সবার সামনে তুলে ধরে তাই পণ্য বিক্রি ও মার্কেটিং নলেজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কিভাবে একটি পণ্য ভোক্তার কাছে পছন্দনীয় করে তোলা যায় সেটি জানতে হবে। অর্থাৎ প্রোডাক্ট ম্যানেজার হওয়ার জন্য এই দক্ষতা টি আপনার থাকতে হবে।

চাকরির ইন্টারভিউতে প্রোডাক্ট ম্যানেজারকে যে ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারে

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ইন্টারভিউ দিতে গেলে প্রথম যে প্রশ্নটির সমমুখী হতে পারেন সেটি হলো কেস ইন্টারভিউ। 

কেস ইন্টারভিউঃ  কেস ইন্টারভিউ তে চাকুরীপ্রার্থীর এনালিটিকাল থিঙ্কিং এবং স্ট্রাকচার থিঙ্কিংকে টেস্ট করার হয়। কেস ইন্টারভিউর মাধ্যমে কোন একটি কেস বা পরিস্থিতি প্রার্থীর সামনে উপস্থাপন করা হয় এবং বলা হয় সেই পরিস্থিতিতে তিনি কি করতেন বা কি ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে পণ্য বাজারে সরবরাহ করতেন। সেই কেসে আপনাকে যে সমস্যা গুলো দেখা হয় সেগুলো আপনি কোন ধরণের এপ্রোচ বা স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে সেই পরিস্থিতি টি সমাধান করবেন এগুলা পরীক্ষা করা হয় মূলত কেস ইন্টারভিউর মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি আগেই একটি সুগঠিত ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে রাখেন তাহলে সমস্যাটি সমাধান করতে আপনার সুবিধা হবে।

বিহেভিয়ারাল ইন্টারভিউঃ সব ধরণের প্রতিষ্ঠানের কিছু মূলনীতি থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন সফটওয়্যার বা অ্যাপ কোম্পানি গুলোর নিজস্ব কিছু আলাদা মূল নীতি থাকে। তাই কাজ করার সময় অবশ্যই সেসব নীতির বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না। সেই নীতিগুলোর আলোকে পরীক্ষক আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করবে বা এমন একটি পরিস্থিতি উদাহরণস্বরূপ  আপনাকে দিবে এবং জানতে চাইবে যে সেই ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি সেটি জানতে চাই বা এমন পরিস্থিতি তে আপনি যে পদক্ষেপগুলো নিবেন সেগুলো প্রতিষ্ঠানের মূল নীতির বিরুদ্ধে যায় কি না সেগুলো পরীক্ষা করবে। উদাহরণ  হিসাবে  বলতে পারে যে আপনি কোন একটি ক্ষেত্রে সফল হতে পারেন নি। সফল হওয়ার জন্য কি  পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সেগুলো জানতে চাইতে পারে।  তাই যে কোন কোম্পানি ইন্টারভিউ তে যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানির মূলনীতি, তাদের মূল্যবোধগুলো ভালোভাবে জেনে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নীতি গুলো মাথায় রেখে সেগুলোর আলোকে উত্তর দিতে সুবিধা হবে। 

লিডারশিপ সম্পর্কিত প্রশ্নঃ যেহেতু একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার অনেক গুলো টিমকে লিড করবে, তাদের দিকনির্দেশনা দিবে, তাই একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের একজন আদর্শ লিডারের গুণগুলো আয়ত্ত করতে হবে। সব ধরণে পরিস্থিতিতে শান্ত থেকে কিভাবে একটা পরিস্থিতি সামলানো যায় সেই সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ধৈর্য্যশীল হতে হবে, সবাইকে মোটিভেট করতে হবে কাজের প্রতি,কোন জটিল পরিস্থিতির জন্য কাউকে দোষারোপ করা যাবে না— এসব গুণ সম্পন্ন হতে হবে। আর এই লিডারশিপের গুণাবলী মালিক পরীক্ষা করে থাকেন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার করণীয় কি এসব প্রশ্নে প্রার্থীর উত্তরের উপর ভিত্তি  করে।

এমপ্যাথি আর কমিউনিকেশন স্কিলঃ  যেহেতু আপনি প্রোডাক্টটি ম্যানেজমেন্টের গুরুদায়িত্বে থাকবেন তাই সকলে আপনার প্রতি খুব আশাবাদী থাকবে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকক্ষেত্রে একজন কর্মী একটি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতি আপনি কেমন আচরণ করবেন। এই সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরও আপনার কাছে জানতে চাইতে পারে।


 

  • ঘুড়ি লার্নিং এর ফ্রি কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

লার্নিং স্পিডঃ যে কোন সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে আপনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তাৎক্ষণিকভাবে কোন পরিস্থিতি থেকে আপনি কি শিক্ষা নিকেন এবং সমস্যাটি সমাধানে কি পদক্ষেপ নিলেন এগুলোও পরীক্ষক যাচাই করতে পারে।

প্রোডাক্ট ম্যানেজারের স্যালারি 

একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে যদি আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনি কি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন তা জানা থাকতে হবে। এখন আমরা একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের স্যালারি নিয়ে আলোচনা করবো। 

আপনি যদি নিজেকে এলজন দক্ষ প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন তাইলে আপনি অন্তত মাসিক ৮০,০০০- ৫,০০,০০০ পযন্ত ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান ভেদে সামান্য কম বা বেশি হতে পারে। কিন্তু সব ধরণের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে একজন দক্ষ প্রোডাক্ট ম্যানেজারের জন্য পদ থাকে এবং তারা একটি মোটা অংকের টাকা প্রোডাক্ট ম্যানেজারের পিছনে ব্যয় করে থাকে। কারণ একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের কাজের দক্ষতার উপর  ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা নির্ভর করে। 

ই-কমার্স কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি স্যালারি দিয়ে থাকে প্রোডাক্ট ম্যানেজারদের। একটি উদাহরণ হিসাবে বলা যায়—ফ্লিপকার্টে কোম্পানি মাসে ৮,০০,০০০ সেলারি দিয়ে থাকেন প্রোডাক্ট ম্যানেজারদের। তাহলে আমরা বুঝতেই পারছি একটু দক্ষ হইলেই এই জব ফিল্ডে আমরা কতোটা সফলতা অর্জন করতে পারবো। দেশের বাইরেও এসব পদে আমরা কাজ করতে পারি। যদি ইউএস ডলারে হিসাব করেন তাহলে মাসে ১০,০০,০০০- ৫০,০০,০০০ টাকা ইনকাম করা যায়।

যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করার যায়

এখন আমরা এমন কয়েকটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানবো যে প্রতিষ্ঠান গুলো প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং বড় অঙ্কের সেলারি প্রদান করে  থাকে।

  • এমাজন
  • ফেসবুক
  • গুগল।
  • মাইক্রোসফট
  • পেপাল
  • এ্যাপল
  • ফ্লিপকার্ট
  • ওলা
  • মাইক্রোসফট 
  • ইত্যাদি

এগুলো ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে সব ধরণের এ্যাপ বা সফটওয়্যার কোম্পানিতে এই পদটি তে বেশি নিয়োগ হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে কোন পণ্য মার্কেটে লঞ্চ করার জন্য এই পদগুলো তে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

  • ঘুড়ি লার্নিং এর ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সগুলো পাবেন এই লিঙ্কে। 

উপসংহার

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই বিষয়টি আমরা এখন ভালোভাবে বুঝতে পারছি যে, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের যে পদটি আছে সেখানে জব করতে হলে প্রয়োজন হলো দক্ষতার। কারণ এই দক্ষতাগুলো কাজে লাগিয়েই একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে থাকে এবং প্রতিষ্ঠানের পণ্য, এ্যাপ বা ফিচারটিকে মার্কেটের অন্যান্য প্রতিযোগিদের থেকে অনন্য করে তোলেন। যদি একবার নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় তাহলে এই ফিল্ডে বিফল হওয়ার কোন কারণই নেই। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান এসব পদের জন্য লোক নিয়োগ দিচ্ছে কিন্তু পর্যাপ্ত দক্ষতার অভাবে যোগ্য ব্যক্তি পাচ্ছে না। 

তাই আজকে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সবাই পড়াশোনা করে স্নাতক আর স্নাতকোত্তর পাশ করেও চাকরি পাচ্ছে  না। কারণ  জবগুলোর জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন  সেগুলো তাদের  মধ্যে নেই। এজন্য দক্ষতা অর্জন করলে অনেক এমন সেক্টর আছে আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তার মধ্যে এমনই একটি পদ হচ্ছে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট। আর আমরা এটাও এখন জানি যে এখানে জব করার জন্য বিশেষ কোন সাবজেক্টে পড়ার প্রয়োজন নেই যে কোন ডিসিপ্লিন থেকে এই জবে আসা যায় আর  শুধু প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত একটি  কোর্স করে নিলে আর যে যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করলেই এই ফিল্ডে জব করতে পারবে। 

তাহলে আর দেরী কেন আপনিও প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ক্যারিয়ার গঠনে এগিয়ে চলেন। আপনার দক্ষতা গুলোই আপনাকে এনে দিবে সফলতা। এরকম আর্টিকেল আরও পেতে ঘুড়ি লার্নিং ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের কোর্সের মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বের কাছে উপযুক্ত করে তুলে ধরুন। 

Comments

Popular posts from this blog

5 Best Programming languages for Web Development in 2023

অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত: অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায়

Top 10 PowerPoint tips you must know