Power BI কী? Power BI কেন শিখবেন?

 

Power BI  কী? Power BI কেন শিখবেন?

আধুনিক যুগে প্রায় সব কাজ ইন্টারনেট ভিত্তিক। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব ধরনের যোগাযোগ সব কিছুই এখন আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর। আর এখানে ডাটার ব্যবহার এখন সর্বক্ষেত্রে। তাই সৃষ্টি হয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক ডাটানির্ভর বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র। অনেকেই পাওয়ার বিআইের (Power BI) মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠন সম্পর্কে শুনেছেন। আসলে পাওয়ার বিআই (Power BI) কি? এটি কি কাজে ব্যবহৃত হয়? কিভাবে এটি শেখা যায়  সে বিষয়ে ধারণা পাবেন ঘুড়ি লার্নিং এর এই আর্টিকেল থেকে।

পাওয়ার বিআই (Power BI)

পাওয়ার বিআই (Power BI) হলো একটি ডাটা নির্ভর বিজনেস ইন্টেলিজেন্স টুলস। পাওয়ার বিআই (Power BI) কে ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন টুলসও বলা হয়। যার মাধ্যমে আপনি অসংখ্য ডেটার মধ্যে লুকিয়ে থাকা আপনার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারবেন এবং সে ইনফরমেশনগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার প্রয়োজনীয় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 

এখন প্রশ্ন জাগে ভিজুয়ালাইজেশন কি? চলুন দেখি, ভিজুয়ালাইজেশন টা আসলে কি? ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন হলো তথ্য ও উপাত্ত সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয়ভাবে গ্রাফিক্যালি উপস্থাপন। ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রে গ্রাফ, চার্ট, ডেক্সবোর্ড, মানচিত্র এগুলো ব্যবহার করা হয়। তেমনি পাওয়ার বিআই (Power BI) হলো ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের একটি টুলস। পাওয়ার বিআই টুলস টি মাইক্রোসফট দ্বারা উদ্ভাবিত একটি বিজনেস এনালেটিক সার্ভিস । এই টুলস টি ডেটাকে ভিজ্যুউলাইজ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। কানেকশন থেকে শুরু করে শেষ পযন্ত ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন পযন্ত সব গুলা ধাপে এটি সব কিছু খেয়াল রাখে এবং নিখুঁত ভাবে কাজ করা যায় । 

এই টুলস টি ব্যবহার করে আমরা অনেক জটিল কাজ খুব সহজে সমাধান করতে পারি। যেমন ধরুন আপনাকে যদি বলা হয় কোন একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিগত কয়েক বছরের আয় ব্যয়ের হ্রাস বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে সেই প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী বছরগুলাতে পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ নির্ণয় করতে হলে এটি নির্ণয় করা একটি জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে এবং এই কাজটি অনেক সময়সাপেক্ষ আর ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। 

কিন্তু মাইক্রোসফট দ্বারা উদ্ভাবিত পাওয়ার বিআই (Power BI) এমন একটি টুলস যা এই জটিল কাজটি স্বল্প সময়ের মধ্যে করে দেয়। শুধু মাত্র কয়েক বছরের ডেটা একসাথে ইনপুট দেওয়ার পর সেগুলো থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাগুলো সংগ্রহ করে, সেই ডেটাগুলো মডেলিং, ক্লিনিং এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে একটি রিপোর্ট তৈরি করা যায় পাওয়ার বিআই (Power BI) ব্যবহার করে এবং এই রিপোর্টটি পাবলিশ করে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এই রিপোর্ট ব্যবহার করে জটিল সিদ্ধান্ত গুলো খুব সহজে এবং নিখুঁত ভাবে নিয়ে থাকেন।

যদি একই কাজ আমরা এক্সেলে করতে যাই এটি খুব সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হবে। আপনাকে অনেক ধরণের ফর্মূলা ব্যবহার করতে হবে। উল্টো দিকে পাওয়ার বিআই (Power BI) এর ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটা বাটন ক্লিক করলেই এই কাজটি সহজে করা যায়। কিন্তু এই জটিল কাজটি সহজে খুব অল্প সময়ে করতে প্রয়োজন দক্ষ পাওয়ার বিআই (Power BI) ব্যবহারকারী। কারণ দক্ষতা না থাকলে এই কাজটি সুন্দর ও সফল ভাবে সম্পূর্ণভাবে করা কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই এই কাজে দক্ষতা অর্জন করলে এখানে রয়েছে বিশাল কর্মক্ষেত্র। তাছাড়া এক্সেলের কাজগুলা আমরা পাওয়ার বিআই এর মাধ্যমে করতে পারবেন। 

যেমন আপনি বৃহৎ একটা ডেটাবেজ থেকে, কোয়ারি ব্যবহার করে একটি ভ্যারিয়েবল কে অন্য একটি ভ্যারিয়েবলে রূপান্তর করতে চা্চ্ছেন। এই জটিল কাজগুলো শুধু ক্লিক এবং ড্রাগের মাধ্যমে খুব সহজে করা যায়। ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন অত্যন্ত সহজে ভাবে সম্পূর্ণ করা যায়।

পাওয়ার বিআই কিভাবে কাজ করে

পাওয়ার বিআইয়ের ((Power BI)) মধ্যে সাধারণত ৪ টি কম্পোনেন্ট রয়েছে সেগুলো হলোঃ

১.কানেক্ট ডেটা

২.ট্রান্সফর্ম ডেটা

৩.ভিজ্যুয়ালাইজ ডেটা

৪.পাবলিশ রিপোর্ট

কানেক্ট ডেটাঃ সর্বপ্রথম ব্যবহারকারী পাওয়ার বিআইয়ে (Power BI) ডেটা গুলো কানেক্ট করে। এখানে ডেটা কানেক্ট এর অনেকগুলো সোর্স রয়েছে যে কোন ধরনের ডেটাবেস এখানে কানেক্ট করা যাবে। অর্থাৎ ডেটা কানেক্টিভিটির জন্য এখানে আমারা মাল্টিপল সোর্স ব্যবাহার করতে পারি।

ট্রান্সফর্ম ডেটাঃ অনেক সময় ডেটা কানেক্ট হওয়ার পর দেখা যায় ডেটা ক্লিন না। পাওয়ার বিআইয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডেটাকে ট্রান্সফর্ম করতে পারবেন ক্লিন করার মাধ্যমে।

ভিজ্যুয়ালাইস ডেটাঃ ক্লিনিং প্রসেসের পরে যে কাজটি পাওয়ার বিআই (Power BI) করে থাকে সেটি হলো ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন। সংগ্রহ করা তথ্যগুলো বিভিন্ন গ্রাফ এবং চার্টের মধ্যে সাজিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থান করে যাতে সেটি থেকে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন ব্যবহারকারী বা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান। ডেটা ভিজুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে খুব সহজে ডেটা এনালাইসিস করা যায়।

পাবলিশ রিপোর্টঃ ভিজ্যুয়ালাইজেশন শেষ হওয়ার পর আপনি এটি ক্লাউডে পাবলিশ করতে পারবেন। যেখানে ব্যবহারকারী তার কোম্পানির অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে তথ্যটি শেয়ার করতে পারবে। এর মাধ্যমে একই সময় অনেক লোক একটি রিপোর্ট নিয়ে কাজ করতে পারবে।

পাওয়ার বিআই যেসব কারণে ব্যবহার করা হয়ঃ


 

  • ডেটা কানেক্টিভিটির জন্য মাল্টিপল সোর্স ব্যবহার করা যায়
  • এক্ষেত্রে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন অনেক আকষর্ণীয় হয়ে থাকে
  • পাওয়ার বিআই (Power BI) এর মধ্যেমে খুব সহজে আপনি ড্যাসবোর্ড ক্রিয়েট করতে পারবেন
  • পাওয়ার বিআই এর মধ্যে অনলাইন রিপোর্ট পাবলিশ করা যায়
  • সময়সাশ্রয়ী
  • অর্থসাশ্রয়ী
  • কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে

Power BI  কিভাবে কাজ শিখবেন?

ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রে যে টুলগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে পাওয়ার বিআই খুব জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভিডিও টিউটরিয়াল দেখে বা পড়ে অনেকে সাময়িকভাবে মনে করতে পারেন যে এই বিষয়ে আপনি যথেষ্ট দক্ষ। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এবং চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে এটুকু যথেষ্ট নয়। তাই এইক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হাতে কলমে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করা। পাওয়ার বিআইয়ে দক্ষতা অর্জন করার সর্বোত্তম উপায় হচ্চে প্রজেক্ট তৈরি করা।

এই প্রজেক্ট তৈরি করার মাধ্যমে আপনি ডেটা ক্লিন করা থেকে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজ করা পর্যন্ত সব ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে। প্রজেক্ট তৈরি করে কিভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন এবং কাজটি শিখতে পারবেন সে সম্পর্কে ৫ টি ধাপে আলোচনা করবো। হাতে কলমে দক্ষতার সাথে আপনিPower BI-300 পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি এবং চাকরির ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত হবেন।

ধাপ- পাওয়ার বিআই (Power BI) ইনস্টল করা এবং ইন্টারফেসের সাথে পরিচিত হওয়া 

পাওয়ার বিআই শেখার প্রথম ধাপটি হলো পাওয়ার বিআই ইনস্টল করা এবং ইন্টারফেসের সাথে পরিচিত হওয়া। এটি ইনস্টল করতে আপনাকে কোন পে অর্থাৎ টাকা প্রদান করতে হবে না। পাওয়ার বিআই উইন্ডোস ওপেন করলেন দেখতে পাবেন যে আপনি যে তথ্য গুলা জানতে চা্ছেন সে সবগুলো তথ্য সেখানে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দেওয়া আছে। যেখানে আপনারা লার্নিং পার্টও দেখতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন পপুলার লার্নিং ওয়েগুলো দেওয়া আছে। যে টিউটরিয়াল গুলো দেখলে আপনি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন এবং সেখানে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে কাজ করলে আপনি নিজেকে একজন পাওয়ার বিআই (Power BI) দক্ষ এনালাইসার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন। 

পাওয়ার বিআই শুধু উইন্ডোজে কাজ করতে পারে। তাই যদি আপনি উইন্ডোজ ব্যবহার না করেন তাহলে আপনাকে একটি ভার্চুয়াল মেশিনে পাওয়ার বিআই চালাতে হবে। পাওয়ার বিআই ইনস্টলের পর আপনি নিজে এর ইন্টাফেসগুলো সম্পর্কে জানবেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা ট্রেনিং প্রদানকারি সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনি শিখবেন—


 

  • হ্যান্ডস অন পাওয়ার বিআই ইন্ট্রো কোর্স
  • মাইক্রোসফট পাওয়ার বিআই কুইকস্টার্ট গাইড

এগুলো থেকে গাইডলাইন নিতে পারেন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ইন্টাফেসেরগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন অর্থাৎ টিউটরিয়াল দেখে পাওয়ার বিআই (Power BI) সম্পর্কে আপনি একটু ধারণা নিতে পারেন।

ধাপ- ট্রান্সফর্ম ডেটা অথবা ক্লিন ডেটা

অনেক সময় ডেটা কালেক্ট করা পর দেখা যায় সে ডেটাগুলো আমাদের কিছু ক্ষেত্রে মডিফাই করার প্রায়োজন পরে বা ডেটা ক্লিন করার প্রয়োজন পরে। এক্ষেত্রে যে কাজ গুলা করা হয়ে থাকে সেগুলো হলো ডেটা মডেল তৈরি করা, ডেক্সের সাহায্যে মান গণণা করা, পাওয়ার কুয়েরি এডিটর দিয়ে ডেটা পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেট থেকে কোন ডেটা নিয়ে সেগুলো থেকে ডেটা ক্লিনিং, ডেটা মডেল তৈরি করতে পারেন। এই কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অভিজ্ঞ ব্যাক্তি বা পাওয়ার বিআই সম্পর্কিত কোন কোর্স করতে পারেন।

ধাপ ৩ঃ ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি

সংগৃহীত ডেটা ক্লিনিং করার পর সে ডেটাগুলো বিভিন্ন গ্রাফ ও চার্ট ব্যবহার করে সুসজ্জিত ভাবে ইনফরমেশন গুলো উপস্থাপন করাই হলো ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন। প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে কি ধরনে গ্রাফ বা চার্ট ব্যবহার করে আপনি আপনার ডেটা গুলো উপস্থাপন করতে চান। প্রথমে সহজ কিছু গ্রাফ আর চার্টের ফর্মেট দিয়ে কাজ করে চর্চা করতে হবে। পরবর্তী তে জটিল ধাপ গুলোতে যেতে হবে। এভাবে আপনি ভিজ্যুয়ালাইজ ফর্ম সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করা ভিজ্যুয়াল গ্রাফে আপনি আপনার ডেটা ইনপুট করে সেটিকে আকর্ষণীয় আর তথ্যবহুল করে সাজিয়ে তুলবেন। এভাবে সব ডেটা ইনপুট করে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।

ধাপ -  রিপোর্ট তৈরি

পাওয়ার বিআই (Power BI) সাধারণত ব্যবহার করা হয় কোন একটি সংস্থা বা কোম্পানি কোন একটি  টপিকের বিপুল পরিমান ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করে সেটা ভিজ্যুয়ালি প্রেজেন্ট করে রিপোর্ট তৈরি করতে। তারপর সেই তৈরিকৃত রিপোর্ট টি পাওয়ার বিআই পরিষেবা তে পাবলিশ করা হয়। 

এই রিপোর্টটিতে থাকা তথ্য সে কোম্পানি বা সংস্থা সকলে ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে ডেটা থেকে রিপোর্ট তৈরি করার পর সেটি কিভাবে সবার ব্যবহারের জন্য পাবলিশ করতে হবে। যাতে আপনার রিপোর্ট কাজে লাগিয়ে দ্রুত ও স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।


 

  • হ্যান্ডস-অন কোর্সটি আপনাকে শিখাবে কিভাবে ওয়ার্কস্পেস এবং পাওয়া বিআই (Power BI) পরিষেবা পরিচালনা করতে হয়।
  • এই কোর্সটির মাধ্যমে আপনি পাওয়ার বিআই এর পরিষেবার জন্য সাইন আপ এবং আপনার প্রথম পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।

ধাপ প্রজেক্ট পোর্টফোলিও তৈরি

পাওয়ার বিআই (Power BI) এর সবগুলো বৈশিষ্ট্য ধাপে ধাপে একবার বুঝতে পারলে প্রতিটি ধাপ আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করতে চর্চা করতে হবে। অর্থাৎ ডেটা সংগ্রহ থেকে শুরু করে রিপোর্ট পাবলিশ করা পর্যন্ত সব গুলো কাজ ধাপে ধাপে একটি প্রবাহের মতো করে যেতে হবে।

এই কর্মপ্রবাহ গুলো হলোঃ


 

  • যে কোন ধরনের ডেটাবেজ খুঁজা এবং সেটি পাওয়ার বিআই (Power BI) এর সাথে যুক্ত করা
  • অনেক অপ্রোয়জনীয় ডেটা ক্লিন করা বা পাওয়ার কোয়েরি এডিটর দিয়ে ডেটা পরিষ্কার করা
  • ডেটা মডেলিং করা এবং ডেটাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা
  • ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং রিপোর্ট তৈরি
  • রিপোর্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশ করা

এভাবে বার বার কয়েকটি ডেটাবেজের সাথে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে পাওয়ার বিআইয়ে চর্চা করুন। যাতে আপনি পাওয়ার বিআই (Power BI) এর সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে পারেন।

একটি পোর্টফোলিও হলো আপনার করা সম্পূর্ণ প্রজেক্টের একটি সংকলন যা আপনি আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারেন এবং নিয়োগকারীদের কাছে হাইলাইট করতে পারেন। মাইক্রোসফট পাওয়ার বিআই ডোমেইনে রয়েছে সেখানে যদি আপনার কাজগুলো পাবলিশ করেন তাহলে অনেকে দেখতে ও বুঝতে পারবে যে আপনার কতোটুকু দক্ষতা রয়েছে। আপনি কিভাবে কাজটি গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারছেন।

পাওয়ার বিআই ক্যারিয়ার

এখানে বিশাল ডেটাসেটের একটি সারসংক্ষেপ আপনাকে দিতে হবে। এটি গ্রাফিকাল ইন্টাফেসের মাধ্যমে আপনাকে বলে দিবে আপনার ডেটা গুলা কেমন।

পাওয়ার বিআই (Power BI) কে ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে হলে কি দক্ষতা দরকারঃ


 

  • পাওয়ার বি আই ডেক্স ফর্মুলা সম্পর্কে জানতে হবে।
  • এডভান্সড এক্সেলের কাজ গুলা জানলে পাওয়ার বিআই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
  • কোয়ারি মাধ্যমে ডেটা ক্লিনিং, ডেটা ট্রান্সফরমেশন সম্পর্কে ধরণা থাকতে হবে।
  • ডেটা মডেলিং স্ট্র্যাটেজি গুলো জানা থাকতে হবে।

এই কাজটি করতে আপনার বিশেষ কোন সাবজেক্টে পড়াশোনা করার দরকার নেই। যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসে আপনি এখানে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ইকোনমিক্স বা বিজনেস স্টাডিসের কোন সাবজেক্ট নিয়ে ও পড়াশোনা করে থাকেন আপনি পাওয়ার বিআই নিয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি খুব সহজে নন-টেকনিকাল সাবজেক্ট থেকেও এখানে আসতে পারেন। 

আপনি যে কাজ জানেন সেটা প্রমাণ করতে পারলেই আপনি যেকোন জায়গায় কাজ করতে পারবেন। কাজ করার যোগ্যতায় উল্লেখ থাকে যে কোন ডিসিপ্লিন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী বা ব্যাচেলার ডিগ্রি করে কাজ টি করা যায়। ফ্রিলান্সিং সাইটগুলোতে যদি আমরা যায় দেখতে পারবো যে সেখানে অনেকেই এ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে পাওয়া বিআই (Power BI) টুলসটি যদি আপনি ঘরে বসে আয়ত্ত করতে পারেন তাইলে খুব সহজে একটা জব ফিল্ডে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার পোর্টফোলিও তে ব্যবহার করতে পারেন এমন কিছু ডেটা সেট হলো—

১.বাজার গবেষণা।

২.স্টক মার্কেটের তথ্য।

৩.কোন একটি প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব।

পাওয়ার বিআইয়ের (Power BI) মতো একই কাজ করে থাকে এমনে কিছু টুলস হচ্ছে টেবিউ, কুয়িক ভিউ। কিন্তু সব চেয়ে বিপুল সংখ্যাক কোম্পানি পাওয়ার বিআই কে ব্যবহার করে থাকে।

সত্যয়িত হওয়া

এবার আপনি পাওয়ার বিআই এর বৈশিষ্ট্যগুলো এবং কাজগুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আবার বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করেছেন। আপনি পিএল -৩০০ সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হবেন।

পরীক্ষার জন্য আপনার যে প্রধান দক্ষতা গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ


 

  • ডেটা প্রস্তুত করা অর্থাৎ ডেটা সংগ্রহ করা,ডেটা ক্লিনিং করা এবং ডেটা ট্রান্সফর্ম করা।
  • ডেটা মডেলিং করা অর্থাৎ একটি ডেটা মডেল ডিজাইন করা।
  • তথ্য ভিজ্যুয়ালাইজ ।
  • রিপোর্ট তৈরি করা।
  • রিপোর্ট পাবলিস্ট করা।

এভাবে আপনি পাওয়ার বিআই (Power BI) এ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং সে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।

পাওয়ার বিআই শিখে আপনি যে যে পদে চাকরি করতে পারবেন সেগুলো হলো—


 

  • পাওয়ার বিআই বিশ্লেষক
  • পাওয়ার বিআই বিজনেস অ্যানালিস্ট (আইটি)
  • পাওয়ার বিআই সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার
  • সিনিয়র বিজনেস ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষক

বিশ্বব্যাপী পাওয়ার বিআই ব্যবহার করা শীর্ষক কোম্পানিগুলো হলোঃ


 

  • ডেলয়েট
  • আর্নেস্ট এন্ড ইয়ং
  • এইচসিএল টেকনলজিস
  • ক্রাফট হেইঞ্জ কো
  • রোলস রয়েল হোল্ডিংস পিএলসি

স্যালারি

একজন পাওয়ার বিআই বিশ্লেষকের আনুমানিক প্রতিমাসে মোট বেতন হলো ৫০,০০০ থেকে ১,৯০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।  অর্থাৎ এই পাওয়ার বিআই এর ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করলে বিশাল একটি কর্মক্ষেত্রে রয়েছে যেখান থেকে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত দক্ষতার প্রয়োজন।

পাওয়ার বিআই  Power BI কি সহজে শেখা যায়....?

পাওয়ার BI শেখা বেশ সহজ। আপনি টুল ইন্টিগ্রেশন বোঝা এবং ডেটা লেক আয়ত্ত করতে পারলে Power BI শেখা সহজ হয়ে যাবে। তাছাড়া আরও সহজ হবে যদি আপনি যেকোনো Power BI প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হন। এছাড়াও, ঘুড়ি লার্নিং এর প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞরা আছেন যারা শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী সিলেবাস ডিজাইন করেন।

উপসংহার

উপরের আলোচনা শেষে এটা বলা যায়, ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা কোম্পানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে যা তাদের কোম্পানির জন্য সর্বোত্তম ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয়। সকল BI টুলসের মধ্যে, Power BI ব্যবসায়িক বিশ্লেষণে শীর্ষস্থাত দখল করে আছে। বর্তমানে বেশিরভাগ বড় সংস্থাগুলিতে পাওয়ার BI সত্যয়িত পেশাদারদের অনেক চাহিদা রয়েছে৷ পাওয়ার BI চাকরিগুলো আপনাকে স্মার্ট বেতন অফার করে এবং আপনি শীর্ষ সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

আশা করি Power BI নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়েছেন। তারপরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের ব্লগ নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন আর সেই সাথে ঘুড়ি লার্নিং এর কোর্সগুলো থেকে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। 

Comments

Popular posts from this blog

5 Best Programming languages for Web Development in 2023

অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত: অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায়

Can I Read The Quran In My Own Language, Bangla