ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতির টিপস

 

IELTS প্রস্তুতির আলোচনায় আমরা  IELTS সব থেকে কঠিন অংশ অর্থাৎ কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন তা আলোচনা করবো। এই যাত্রায় একজন প্রশিক্ষকের সহায়তা নিতে পারলে আপনার প্রস্তুতির সময়টা সহজতর হবে। সেখানে আমরা আপনাকে ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতির সবথেকে কার্যকরী টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। 

IELTS কী

IELTS যেটা International English Language Testing System এর সংক্ষিপ্ত রূপ এবং বিশ্বব্যাপী গৃহীত এবং সমাদৃত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমাণের সিস্টেম। বাইরের দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য বা পেশাদার কাজের জন্য যারাই যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগেই IELTS স্কোরকে নিজেদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেন। 

IELTS কেন এতো জনপ্রিয় এবং ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণের বিশ্বস্ত মাধ্যম? কারণ একটি ভাষার যতোগুলো দক্ষতা প্রয়োজন তা খুব ভালোভাবে IELTS দিতে পারে। যেমন ধরুণ স্পিকিং স্কিল টেস্ট দ্বারা আপনি ইংরেজি যে ভালো বোঝেন এবং শুদ্ধভাবে বলতে পারেন তার প্রমাণ করে। সুতরাং ইংরেজি ভাষাভাষী যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য আপনার IELTS স্কিল বেশ সাপোর্ট দেয়। 

এখন IELTS কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একাডেমিক এবং জেনারেল। দুইটা এক্সামের ধরণ প্রায় সবই একই, জাস্ট আপনার উদ্দেশ্য অনুসারে সিলেবাসে পরিবর্তন দেখা যায়। একাডেমিক IELTS বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য নেওয়া হয় এবং অন্যদিকে জেনারেল IELTS সেকেন্ডারি এডুকেশন শেষে কোন কাজের জন্য, কাজের দক্ষতা অর্জনের জন্য কিংবা অন্যদেশে টেমপোরালি মাইগ্রেট করার জন্য কার্যকরী। 

ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতির টিপস (IELTS Preparation)

আপনি হয়তো ইতোমধ্যেই জানেন IELTS এক্সামকে ৪ টি সেকশনে ভাগ করা হয়। Listening, Speaking, Reading & Writing. প্রতিটি সেকশনই আপনাকে ভালো স্কোর করতে হবে, অন্যথায় আপনার অভারঅল স্কোর খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং আপনাকে প্রতিটি সেকশনই আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। নিচে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কার্যকরী সহায়ক টিপস আলোচনা করা হলো। 

IELTS স্পিকিং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি টিপস (IELTS Speaking)

  • IELTS প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সবার কাছে সবথেকে ভয়ের সেকশন হচ্ছে স্পিকিং টেস্ট। কারণ রিয়েল টাইমে আপনাকে এই টেস্ট দিতে হয়, যেখানে আমাদের মতো দেশে প্রাকটিস করার সুযোগ কম আবার একসেন্ট সমস্যা তো আছেই। অবশ্য কিছু টিপস আপনার এই অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত আপনার সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর, আপনার শখ, ভালোলাগা, মন্দলাগা, পরিবার কিংবা সমাজ ইত্যাদি নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়। প্রস্তুতি নেওয়ার সময় যেটা করতে হবে তা হলো প্রতিটি প্রশ্ন বিস্তারিত বলার অভ্যাস এবং সেই সাথে আউট অফ দ্য টপিকস না যাওয়া। তাহলে এক্সামিনারকে সন্তুষ্ট করা আপনার জন্য সহজ হবে। 
  • আপনার যে টপিকস দেওয়া হবে তা নিয়ে লজিকাল আলোচনা করুন। মিসলিডিং ফ্যাক্ট ব্যবহার করা যাবে না। আত্মবিশ্বাসের সাথে নির্দিষ্ট উত্তর দিন। 
  • আপনি যে টপিকসে উত্তর দিচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে এক্সামিনার আরও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এক্ষেত্রেও নির্দিষ্টভাবে উত্তর দিন। তবে আপনার উত্তরের সাথে যেন আপনার পরবর্তী উত্তর কন্ট্রাডিক্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
  • উত্তর দেওয়ার সময় আপনাকে অধিক কনফিডেন্সে থাকা যাবে না আবার নার্ভাসও হওয়া যাবে না। স্পিকিং এর সময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং স্মার্টলি উত্তর দিতে হবে। আপনি যদি কোন বিষয়ে না জানেন তাহলে সেটি সহজভাবে এক্সামিনারকে বলুন। একটি বিষয় না জানা কখনও দোষের না। 

ঠিক এভাবে উপরের বিষয় খেয়াল রেখে আপনি বাসায়ই প্রস্তুতি নিন। তাহলে আপনার উত্তর করা সহজ হবে। 

IELTS লিসেনিং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি টিপস (IELTS Listening)

  • প্রথমত আপনি দুইজন ব্যক্তির একটি রেকর্ডিং শুনবেন যার মাধ্যমে আপনাকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আপনি আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া যেকোন একসেন্ট শুনতে পারেন। আপনি কীভাবে এসব একসেন্টের সাথে পরিচিত হবেন? সেজন্য আপনাকে বিবিসি, সিএনএন এবং ইউটিউব ভিডিও দেখতে হবে। আপনি যতো বেশি প্রাকটিস করতে পারবেন ততই আপনি লিসেনিং এ দক্ষ হয়ে উঠবেন। 
  • তারপর হয়তো স্যোশাল কনটেক্সটের কোন বিষয়ে রেকর্ডিং শুনলেন, তা ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে শুনুন। হাইলাইটেড বিষয়গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন বা নোট করুন। স্পিকারের টপিকস বুঝার চেষ্টা করুন। 
  • ৪ জনের গ্রুপ ডিসকাশনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝার চেষ্টা করুন। স্পিকারদের নাম এবং তাদের রেফারেন্স বুঝার চেষ্টা করুন। 

যখন আপনি এক্সামের জন্য প্রস্তুতি নিবেন তখন ভিডিওগুলো সাবটাইটেলসহ দেখুন। তাহলে আপনার প্রস্তুতি ভালো হবে এবং অনেক ভোকাবুলারিও আপনি আয়ত্ত করতে পারবেন। সবশেষে আপনি প্রাকটিসের জন্য যে রেকর্ডিংগুলো শুনবেন তা ধৈর্যসহাকারে শুনুন এবং শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার ব্রেনকে ব্যস্ত রাখার দরকার নেই। এভাবে আপনি লিসেনিং সেকশনে বেশ ভালো করতে পারবেন। 

IELTS রিডিং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি টিপস (IELTS Reading)

  • এই সেকশনে আপনাকে ৩ টি বড় প্যাসেজ পড়ে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্যাসেজ প্রায় ৩০০ ওয়ার্ডের চেয়ে বড় হবে। সুতরাং আপনাকে দ্রুত পড়া আয়ত্ত্ব করতে হবে। কেবলমাত্র বেশি বেশি পড়ার স্কিল থাকলেই আপনি এই সেকশনে ভালো করতে পারবেন। আপনাকে প্রথম একবার পড়াতেই প্যাসেজটি বুঝতে হবে। কারণ আপনার হাতে সময় খুব কম এবং দ্বিতীয়বার পড়ার কোন সময় আপনি পাবেন না। 
  • পুরা প্যাসেজের মেইন আইডিয়া মাথা সামারাইজ করে রাখুন। তাহলে আপনার উত্তর দেওয়া আরও সহজ হবে। চেষ্টা করুন লেখক কি বলতে চেয়েছে এবং তার কথার পেছনে যুক্তগুলো কি। 
  • প্যাসেজ কীভাবে স্কীমিং করে পড়তে হয় তা আয়ত্ত্ব করুন। তাহলে আপনি দ্রুত উত্তর খুঁজে বের করতে পারবেন। উত্তর লেখার সময় স্পেসিফিকভাবে উত্তর দিন। তবে অবশ্যই যত সম্ভব একুরেট উত্তর লেখার চেষ্টা করবেন। 
  • এক্সামে বসার আগে খুব বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস করুন। এই সেকশনে ভালো করার এটাই সবথেকে কার্যকরী উপায়। বেশি বেশি ভোকাবুলারি আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার প্যাসেজ বুঝতে সুবিধা হবে। সেজন্য পূর্বে পড়েছে এমন প্রশ্ন এবং ভালো মানের কিছু IELTS বই থেকে প্রস্তুতি নিন। 

আর এভাবে পড়তে পারলে আপনার রিডিং সেকশন সহজ হয়ে যাবে। 

IELTS রাইটিং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি টিপস (IELTS Writing)

  • রাইটিং সেকশনে দুইটা টাস্ক সম্পন্ন করতে হয়। একটি ফিগার বা গ্রাফ থাকে যা থেকে ১৫০ ওয়ার্ডস ডেসক্রিপশন লিখতে হয় ২৫০ ওয়ার্ডসের একটি রচনা (essay) লিখতে হয়। যেহেতু ৬০ মিনিটে লেখা শেষ করতে হয় সেহেতু আপনি যতো বেশি প্রাকটিস করবেন ততই লাভবান হবেন। 
  • রাইটিং এ ইন্টিলেজেন্টলি আপনার লেখার আইডিয়া তৈরি করুন। ধীরে ধীরে আপনার রচনার আর্গুমেন্ট গ্রো করুন। আপনার লেখার ভেতর স্ট্রংলি আপনার মতামত উপস্থাপন করুন। 
  • আপনি যখন প্রাকটিস করবেন তখন গ্রাফ বা টেবিল কীভাবে বুঝতে হয় তা শিখুন। ডায়াগ্রামটি কীভাবে বুঝতে হয় তা প্রাকটিস করুন। কীভাবে আপনি সহজে গ্রাফটি তুলে ধরবেন তা শিখুন। একই সাথে আপনার ভোকাবুলারি উন্নত করুন যেন সঠিক শব্দ আপনি লেখার সময় ব্যবহার করতে পারেন এবং রাইটিং স্পিডও বৃদ্ধি করুন। আপনার রাইটিং স্পিড যথেষ্ট উন্নত না হলে নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে আপনার টপিকস কাভার করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। 

সুতরাং নিয়মিত লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পানচুয়েশন ব্যবহার বা বানান ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর দিন। আর লেখার মান ধীরে ধীরে ফর্মাল করে তুলুন। 

উপরের টিপস অনুসারে আপনি শুরু করলে আপনার জন্য IELTS এর প্রতিটি সেকশনে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হবে। তবে সেই সাথে আরও কিছু পয়েন্ট মনে রাখলে আপনার IELTS এক্সাম আরও স্মুথ হবে। চলুন দেখে আসি সেই ট্রিকসগুলো। 

IELTS এক্সামের জন্য প্রস্তুতি টিপস 

সাধারণ IELTS এর জন্য উপরের টিপসগুলো আপনাকে অনুসরণ করতেই হবে। হয়তো কারও স্ট্রাটেজি ভিন্ন হতে পারে তবে মূল পয়েন্ট উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আরও কিছু প্লান আপনার এক্সামে ভালো করতে সহায়তা করবে। 

প্রাকটিস টেস্ট বা মক টেস্ট দিন 

আপনি কতোটা IELTS সিলেবাস আয়ত্ত করতে পেরেছেন, কতো দ্রুত সব উত্তর দিতে পারছেন তা প্রাকটিস বা মক টেস্ট দিয়ে ঝালাই করে নিন। প্রতিবার মক টেস্ট দিয়ে যে দিকে নিজের দূর্বলতা আবিষ্কার করবেন সেদিকে আরও বেশি সময় দিন। আপনার দূর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে এটি বেশ সহায়ক। 

এক্সপার্টের সহায়তা নিন

আপনি যখন নিজে নিজে প্রাকটিস করে নিজের উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন তখন এটি বেশ সাপোর্টিভ হবে। কিন্তু যদি দেখেন নিজের ভুল নিজে ধরতে পারছেন না তখন এক্সপার্ট কারও সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। তিনি আপনাকে IELTS ভীতি দূর করা এবং কোথায় আপনার আরও উন্নতি দরকার তা ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তাহলে আপনি দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন। 

টেস্ট ফরমেট আয়ত্ত্ব করুন 

অনেকে ইংরেজি শিখতে থাকে কিন্তু IELTS এর টেস্ট ফরমেট কেমন হবে তা বুঝতে পারে না। সুতরাং লিসনিং, স্পিকিং, রিডিং এবং রাইটিং এর টেস্ট ফরমেট ভালোভাবে আয়ত্ত্বে নিয়ে আসুন। এক্ষেত্রে পূর্বের প্রশ্নের সমাধান করুন। 

টাইম নিয়ে সচেতন হোন 

IELTS এ অন্যতম একটি সমস্যা যেটা স্টুডেন্টদের কাছ থেকে বেশি শুনা যায় তা হলো টাইম কম। অর্থাৎ নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে টেস্ট শেষ করা কঠিন হয়ে যায়। আর এজন্য আপনাকে বার বার প্রশ্ন সমাধান করে আপনার টাইম আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতে হবে। তবেই টাইমিং সমস্যা দূর হবে। 

ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করুন 

ভোকাবুলারি ছাড়া আপনি একটি ভাষায় দক্ষ হবেন এটা ভাবা যায় না। ঠিক তেমনি IELTS এর প্রতিটি পার্ট এ ভোকাবুলারি জানা খুব প্রয়োজন। আর সেজন্য আপনাকে প্রতিদিন ভোকাবুলারি জানার পেছনে সময় দিতে হবে। ভোকাবুলারি আপনার স্পিকিং বা রাইটিং কে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করবে। 

বেশি বেশি প্যাসেজ পড়ুন

রিডিং সেকশনে টাইম ম্যানেজমেন্টে খুব সমস্যা পড়তে হয়। এখানে বড় বড় প্যাসেজ পড়ে উত্তর করা কঠিন হয়ে যায়। আর এজন্য আপনাকে বহু ধরণের প্যাসেজ পড়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে আপনার IELTS এ যে প্যাসেজ আসবে তা দ্রুত শেষ করে উত্তর দিতে পারবেন। সুতরাং এটি আপনার জন্য বেশ ফলপ্রসু হবে। 

রাইটিং প্রাকটিস করুন 

রাইটং প্রাকটিস করা ছাড়া আপনি রাইটিং এ কখনই ভালো করতে পারবেন না। আপনাকে প্রতিনিয়ত IELTS রাইটং এর ধরণ অনুসারে আপনার প্রাকটিস করতে হবে। তাহলে আপনি এ পার্ট এ ভালো করতে পারবেন। 

স্পিকিং পার্টনার তৈরি করুন - Practic Online 

আপনি একা একা কখনও স্পিকিং এ ভালো করতে পারবেন না। আপনাকে অন্য কারও সহায়তা নিয়ে প্রাকটিস করতে হবে। তাহলে আপনার চর্চার মধ্যে থাকলে আপনি খুব দ্রুত স্পিকিং এ ভালো করতে পারবেন। আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও আপনি গ্রুপ করে অনলাইনেই স্পিকিং প্রাকটিস করতে পারেন। 

ইংরেজির সাথে সময় কাটান 

আপনি দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে বেশি। অর্থাৎ আপনার প্রতিটি কাজ যেন ইংরেজির সাথে বেশি হয়। সেজন্য আপনার পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতো বেশি ইংলিশ-ফ্রেন্ডলি পরিবেশে টাইম পাস করতে পারবেন ততই আপনার IELTS দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভীতি কেটে যাবে। 

১০বার বার মক টেস্ট দিন 

আবারও মক টেস্ট? ইয়েস! IELTS এ ভালো করতে আপনাকে বার বার মক টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে হবে। আপনি অনলাইনেও এখন ফ্রিতে মক টেস্ট দিতে পারবেন। সুতরাং মক টেস্ট দেওয়ায় গাফিলতি করলে আপনার IELTS এ ভালো বেশ কঠিন হবে। 

IELTS স্টাডি প্লান

IELTS স্টাডি প্লান প্রতিটি ব্যক্তি অনুসারে ভিন্ন হবে। তবে কিছু ব্যাপার সবার ক্ষেত্রে সমান। যেমন প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে প্রতিটি সেকশনে টাইম দিন। আর মিনিমাম ২ ঘন্টা আপনাকে প্রতিদিন IELTS এর পেছনে সময় ব্যয় করতে হবে। আর এভাবে আগালে আপনার কনফিডেন্স বৃদ্ধি পাবে। মক টেস্টে যেখানে নিজের দূর্বলতা খুঁজে পাবেন সেই সেকশনে বেশি বেশি টাইম দিন। আর আপনার প্রয়োজন অনুসারে IELTS স্টাডি প্লানে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। 

IELTS online course (IELTS কোর্স)

এবার আসি IELTS  শিখবেন কোথা থেকে। বাংলাদেশে বহু জানা-অজানা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি IELTS প্রিপারেশন নিতে পারেন। তবে অনেকের সময় কম থাকার কারণে কিংবা নানাবিধ ব্যস্থতার কারণে IELTS কোর্স করে উঠতে পারেন না। তাদের জন্য IELTS অনলাইন কোর্স বেশ ফলপ্রসূ হবে। ঘুড়ি লার্নিং এর মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান আপনাকে IELTS প্রিপারেশনে সর্বাত্মক সহায়তা করতে পারেন। আপনি এখানে IELTS practice online এর মাধ্যমে নিজেকে সর্বদা প্রাকটিসের মধ্যে রাখতে পারবেন আর দ্রুত দক্ষ করে তুলতে পারবেন। সুতরাং দেরি না করে আপনার যদি IELTS করা প্রয়োজন হয় আপনি ঘুড়ি লার্নিং এর IELTS অনলাইন কোর্সে  ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। 

শেষ কথা 

এরপরও যদি আপনার IELTS নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে সেটি করতে পারেন। বাংলাদেশে নিজেকে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ঘুড়ি লার্নিং প্লাটফর্ম আপনাকে সর্বদা সহায়তা করবে। সুতরাং আর দেরি না করে আমাদের বৃহৎ এই পরিবারে অংশ হয়ে নিজেকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করতে IELTS এ প্রশিক্ষণ নিন, নিজে নিজে প্রাকটিস করুন, আমাদের প্রশিক্ষকের সহায়তা নিন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে আরও যোগ্য করে গড়ে তুলুন। সর্বোপরি, বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে ছড়িয়ে দিন। 


Comments

Popular posts from this blog

What is cybersecurity? Why it is important?

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার ১০ টি সহজ উপায়।

WordPress কী? WordPress শেখার এবং ক্যারিয়ার গড়ার খুঁটিনাটি!